কুমিল্লা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে শেখ রাসেল দিবস’ পালিত

স্টাফ রিপোর্টার।।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ সন্তান শহীদ শেখ রাসেলের জন্মদিন ১৮ অক্টোবর যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন উপলক্ষে কুমিল্লা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আলোচনা সভা, নবীন বরণ, কুইজ প্রতিযোগিতা এবং দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক দেবব্রত ঘোষ এবং সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ মোঃ কামরুজ্জামান। এছাড়া প্রতিষ্ঠানের প্রশিক্ষকবৃন্দ এবং ১৫০ জন প্রশিক্ষণার্থী উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে টিটিসি কুমিল্লায় বিভিন্ন ট্রেডে ভর্তিকৃত নবাগত প্রশিক্ষণার্থীদের গোলাপ ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। তারপর ‘শেখ রাসেল দিবস’ উপলক্ষে আলোচনা ও ভিডিও প্রদর্শন করা হয়। সিনিয়র ইন্সট্রাক্টর মোঃ খোরশেদ আলম স্বাগত বক্তব্য রাখেন।

কুমিল্লা জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক দেবব্রত ঘোষ প্রধান অতিথি হিসেবে মূল আলোচনা করেন। শেখ রাসেলের জন্মদিন জাতীয় দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখন থেকে প্রতি বছর ১৮ অক্টোবর ‘শেখ রাসেল দিবস’ ‘ক’ শ্রেণীভুক্ত দিবস হিসেবে জাতীয়ভাবে পালিত হবে । ফলে শিশু-কিশোররা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্বন্ধে জানতে পারবে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে পারবে। ১৫ আগস্টের যে বিয়োগাত্মক ঘটনা সেটি তারা জানতে পারবে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বঙ্গবন্ধুর সৈনিক হিসেবে গড়ে উঠবে বলে আশা করছি।

তিনি বলেন, এ দিবসে আমরা শপথ নেব শেখ রাসেলের মতো কোনো শিশুই যেন আর কখনো নির্মমতার শিকার না হয়। শুধু বাংলাদেশেই না, সারা বিশ্বেই যেন শিশুরা নিরাপদ থাকে। শিশুদের মৌলিক অধিকার সম্পর্কে তিনি জাতিসংগ সিআরসি সনদের কথা উল্লেখ করেন এবং সবাইকে শিশুদের অধিকার সুরক্ষায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করার আহবান জানান।

দেবব্রত ঘোষ জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ সন্তান শেখ রাসেল ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে জন্ম নেন। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে রাসেল ছিল সর্বকনিষ্ঠ। ভাই-বোনের মধ্যে অন্যরা হলেন বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর অন্যতম সংগঠক শেখ কামাল, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা শেখ জামাল এবং শেখ রেহানা। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় এই ছোট শিশুটিকেও। ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল ও কলেজের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র রাসেলের বয়স তখন ছিল মাত্র ১০ বছর। নির্মম সেই হত্যাকাণ্ডের এত বছর পর জাতীয় দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পেল শেখ রাসেলের জন্মদিন।

সভাপতি কুমিল্লা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ মোঃ কামরুজ্জামান সমাপনী বক্তব্যে সকলের প্রতি ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি শেখ রাসেলের জীবন বৃত্তান্ত তুলে ধরেন এবং সবাইকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হওয়ার অনুরোধ জানান। প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বৈদেশিক কর্মসংস্থানে প্রশিক্ষণের কোন বিকল্প নেই। তাই চাকরি নিয়ে বিদেশ যাওয়ার আগে সবাইকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করার অনুরোধ জানান।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে শেখ রাসেলের জীবনী নিয়ে কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় এবং বিজয়ী ১০ জনের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়। প্রতিষ্ঠানের জামে মসজিদের ইমাম দোয়া পাঠ করেন। সিনিয়র ইন্সট্রাক্টর মোঃ আরিফুর রহমান ও মোঃ মাসুদ পারভেজ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন।

     আরো দেখুন:

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  

You cannot copy content of this page